অল্প বয়সে কোমর ব্যাথার কারন

অল্প বয়সে কোমর ব্যাথার কারন কোমর ব্যথা তো সচরাচর আমাদের দেশে কোমর ব্যথার রোগী পাওয়া যাবে না এরকম ঘর মনে হয় একটা খুঁজলে পাওয়া যাবে না। অল্প বয়সে কোমর ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। কোমর ব্যথার রোগীদের আমার প্র্যাকটিস জীবনে আমি দেখেছি কোমর ব্যাথার রোগীদের একটা সহজ প্রবণতা হল তারা কোমর ব্যাথা হওয়ার পরে প্রথমে যেটা করে প্রথমে হচ্ছে কিছুদিন মোড়ের দোকান থেকে ব্যাথার ট্যাবলেট বা পেইনক্লেয়ার খেয়ে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে যখন সেটা ভালো না হয় তখন তারা যায় ডাক্তারের কাছে দেন যখন শেখানো তারা ব্যর্থ হয় তখন তারা আসে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের কাছে বিষয়টি এই পরিক্রমায় সম্পূর্ণ হলে রোগী উপকৃত হয় কিনা এটি আজকে আপনাদের সামনে আমি তুলে ধরব। অল্প বয়সে কোমর ব্যাথার কারন আসুন জেনে নিই কেন অল্প বয়সে কোমর ব্যথা হতে পারে:

অল্প বয়সে কোমর ব্যাথার কারন

অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা অস্বাভাবিকভাবে শরীর ব্যবহার করলে কোমরের পেশীতে টান পড়তে পারে। দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে বসে থাকা, অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে ঘুমানো ভারী জিনিস বহন করা, ইত্যাদি কারণে কোমরের পেশী ও হাড়ের উপর চাপ পড়ে এবং ব্যথা হতে পারে।

পেশির টান বা মচকান: কোমরের পেশীতে হঠাৎ টান পড়লে বা মচকান লাগলে ব্যথা হতে পারে। স্পাইনাল স্টেনোসিস এটি একটি অবস্থা যেখানে মেরুদণ্ডের খাল সংকীর্ণ হয়ে যায় এবং স্নায়ুতে চাপ পড়ে। এটি কোমর ব্যথার একটি কারণ হতে পারে। মেরুদণ্ডের ডিস্ক স্লিপ হয়ে গেলে স্নায়ুতে চাপ পড়তে পারে এবং কোমর ব্যথা হতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন কোমরের হাড় ও পেশীর উপর চাপ বাড়িয়ে দেয় এবং ব্যথার কারণ হতে পারে। অল্প বয়সে কোমর ব্যাথার কারন কোমরে কোনো ধরনের আঘাত লাগলে বা পড়ে গেলে কোমর ব্যথা হতে পারে। দীর্ঘ সময় একই কাজ করা: একই কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করলে কোমরের পেশী ক্লান্ত হয়ে যায় এবং ব্যথা হতে পারে।

অন্যান্য কারণ: কিছু ক্ষেত্রে, কোমর ব্যথা অন্য কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে, যেমন আর্থ্রাইটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি।

অল্প বয়সে কোমর ব্যাথার কারন প্রথম কথা হল আপনি পেইনকিলার বা ব্যথার ট্যাবলেট যে খাচ্ছেন একটি পেইন কিলার বা ব্যথার ট্যাবলেট কি করে পেইন পিলার বা ব্যাথার ট্যাবলেট ব্যথার যে অনুভূতিটা আপনার মস্তিষ্কে পৌছাবে সেটিকে বন্ধ করে দেয়

ফলে আপনি চিন্তা করেন আপনার একটি হার মনে করেন একটি হার ক্ষয় হয়ে গেছে বা ভেঙ্গে গেছে অংশবিশেষ ভেঙ্গে গেছে আপনি কি করলেন ব্যথার সেন্সেশনটা বা অনুভূতিটা ব্লক করে দিলেন তাহলে ভেঙে যাওয়া হাতটা কি ঠিক হয়ে যাবে অবশ্যই না কারণ ভেঙে যাওয়ারটা কি আপনাকে অনেক সার্জারি মাধ্যমে মেরামত করতে হবে আদারওয়াইজ সেটি আমাদের করজারভেটিভ অন্য কোন ম্যাথও থাকলে সেটাকে ব্যবহার করতে হবে কিন্তু যদি কনজার্ভ তুলে সেটি ম্যানেজমেন্ট সম্ভব না হয় তাহলে তো অবশ্যই সার্জারি করাতে হবে

তাহলে আপনার ব্যথার নাশক ট্যাবলেট কিন্তু সেক্ষেত্রে কোন সমাধান বই আনতেছে না এই উদাহরণটি আমরা এই জন্যই জানলাম যে কোমর ব্যাথা হওয়ার আমাদের একটা কমন একদম কমন একটা কারণ আমাদের দেশে সেটা হচ্ছে পিএলআইডি রোগীরা যেটাকে বলে যে হার ফাক হয়ে গেছে হার সরে গেছে কিন্তু হার সরে গেলে কি হয় সেটি সম্পর্কে আমাদের রোগীদের অধিকাংশই ধারনা নেই

মূলত মেরুদন্ডটি অনেকগুলো ছোট ছোট হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত এ হারগুলোর মাঝে ছোট ছোট ডিক্স থাকে এই ডিস্কের কোন একটা যদি হাড়ের কারণে অথবা অন্য কোন রোগের কারণে সেটি অনেক জন্য রোগ হতে পারে যে রকম স্পাইনিং টিভি হতে পারে অথবা মেটাবোলিক যোগাযোগ হতে পারে অথবা ইনফ্লোমেটের করা যেতে পারে

অল্প বয়সে কোমর ব্যাথার কারন কোমর ব্যথা হলে কী করবেন:

বিশ্রাম: ব্যথা হলে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিন।
বরফ: ব্যথার জায়গায় বরফের প্যাক কম্প্রেস করুন।
ওষুধ: ব্যথানাশক ওষুধ খেতে পারেন (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)।
ব্যায়াম: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম করতে পারেন।
ডাক্তারের পরামর্শ: যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্য কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:

অল্প বয়সে কোমর ব্যাথার কারন যদি ব্যথা তীব্র হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
যদি ব্যথার সাথে অন্য কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন পা বা পায়ে জ্বালাপোড়া, অসাড়তা ইত্যাদি।

যদি ব্যথা দৈনন্দিন কাজে বাধা দেয়।
প্রতিরোধ:
সঠিক ভঙ্গিতে বসুন এবং দাঁড়ান।
ভারী জিনিস বহন করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
সুষম খাবার খান।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
মনে রাখবেন: অল্প বয়সে কোমর ব্যথা হলে অবহেলা করা উচিত নয়। সমস্যাটির গুরুত্ব বুঝতে এবং সঠিক চিকিৎসা পেতে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Disclaimer: এই তথ্যটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। কোনো রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অপরিহার্য। অল্প বয়সে কোমর ব্যাথার কারন