টনসিল ফোলা কমানোর উপায়, টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া ১৫ টি উপায়

টনসিল ফোলা কমানোর উপায় শীতকালে ছোট থেকে বড় সবারই কমবেশি জ্বর সর্দি কাশি বা গলা ব্যথার মতো সমস্যা লেগেই থাকে আর যাদের টনসিলের সমস্যা আছে তাদের তো কথাই নেই একটু ঠান্ডা লাগলে যেন তাদের গলা ব্যথাটা আরো বেড়ে যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে জ্বরটা হঠাৎ করে বেশ বেড়ে যাচ্ছে 103 ডিগ্রির মতো হয়ে যায় আমাদের ঘরে থাকা কিছু উপকরণ দিয়েই আমরা এই গলা ব্যথাটা কিছুটা হলেও কমাতে পারি। কারণ আজকের আমরা আলোচনা করব যে, টনসিল ফোলা কমানোর উপায়, টনসিল কি?, বাচ্চাদের টনসিল কেমন হয়, টনসিল ফোলার চিকিৎসা কি?,টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া ১৫ টি উপায়, তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে টনসিল ফোলা কমানোর থেকে মুক্তি পাবেন।

টনসিল ফোলা কমানোর উপায়
                                   টনসিল ফোলা কমানোর উপায়

টনসিল কি?:

টনসিল হলো আমাদের গলা আলাজিব্বার বার দুই পাশে দুইটি লিনফিট টিস্যুর দলা বা চাকা। এরকম আরো লিনফিট টিস্যু আমাদের গলার বিভিন্ন জায়গায় থাকে।সকল মানুষেরই এটা থাকে। সাধারণত আমরা আলাজিব্বা দুই পাশে যে লিনফিট টিস্যু আছে সেটাকে আমরা টনসিল বা প্যালেট টনসিল বলি।

বাচ্চাদের টনসিল কেমন হয়:

গলার মধ্যে মাংস বেড়ে যাওয়া বা গলা ব্যথা হওয়া অথবা দেখা যায় বাচ্চা অনেক সময় শ্বাস নিতে খুব বেশি কষ্ট হয় বা ছোট ছোট বাচ্চা যারা আছে তারা খেতে পারে না ঘুমের মধ্যে হা করে শ্বাস নেয়। কিছুদিন পরে দেখা যায় তাদের এরকম আবার টনসিলের ইনফেকশন হয় এরকম যাদের বারবার টনসিলের ইনফেকশন হয় কিন্তু যারা টনসিলের অপারেশন করাতে চান না তাদের জন্য আজকের খুবই ইউজফুল হবে বলে আমি মনে করি টনসিল ফোলা কমানোর উপায়।

কি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকলে আপনাদের টনসিল বা গলার ইনফেকশন অনেক অংশে কমিয়ে ফেলা সম্ভব।

টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া ১৫ টি উপায়:

১.ঘাস পাতার চা: ঘাস পাতার চা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি ব্যথা এবং সুস্থতা স্থায়ী করতে সাহায্য করে।

২. লেবু-মধু: টনসিল ফোলা কমানোর উপায় এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে একটা পাতিলেবুর রস ও ১ চামচ মধু ও একটু লবণ মিশিয়ে খাবেন। টনসিলে ব্যথা হলে দিনের মধ্যে মাঝেমাঝেই তা পান করবেন।

৩. গরম কমলা জুস: গরম কমলা জুসের শান্তি দ্বারা টনসিলের ব্যথা কমানো যেতে পারে। তাজা কমলা জুস খেতে পারেন অথবা এর পানি তৈরি করতে পারেন।

8. ধ্যান ও শারীরিক অভ্যাস: সময়ে সময়ে দীর্ঘ শ্বাস নিতে এবং ধ্যান অনুভাব করতে পারেন। এটি ব্যথা ও স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৫. লবণ পানি: ১ গ্লাস কুসুম গরম জলে একটু খানি নুন দিয়ে ভাপ দিলে সহজেই টনসিলের ব্যথা দূর হয়। ভাপ নেয়ার সময় কান-মাথা জড়িয়ে বসুন। পাখার হাওয়া থেকে দূরে থাকবেন।

৬. . বিশ্রাম: যদি সম্ভব হয়, আপনি অধিক বিশ্রাম নিতে চেষ্টা করুন যাতে আপনার শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি পুনরুদ্ধার করতে পারে।

৭. উপযুক্ত পানি: প্রতিদিন যত সম্ভব অধিক পানি পান যাতে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করা যায়।

৮. গরম পানি ঝলা: এটি একটি সাধারণ ঘরোয়া উপায়। গরম পানি নিয়ে ঝলাতে সহায়ক হতে পারে।

৯. মধু ও গ্রিন টি: টনসিল ফোলা কমানোর উপায় আধ চামচ গ্রিন টি ও ১ চামচ মধু দিয়ে মিনিট দশেক কুসুম কুসুম ফুটিয়ে নিন। দিনে তিন বার এই চা খান। গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এটি জীবাণুর সঙ্গে লড়তে খুব সাহায্য করে। মধুর অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল টনসিলে রোধ সংক্রমণ ঠেকায়।

১০. শাহদ দেওয়া: কিছু শাহদ স্লোলি গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। শাহদের প্রাকৃতিক গুণ টনসিলের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

১১. গরম দুধ ও শাহদ: টনসিল ফোলা কমানোর উপায় এক চামচ শাহদ দুধে মিশিয়ে পান। এটি টনসিলের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

১২. তাজা আম সরবরাহ: তাজা আমে রয়েছে ভিটামিন C যা স্বাস্থ্যকর এবং টনসিলের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

১৩. অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেল টনসিলের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি প্রাকৃতিক শান্তি এবং স্থগিত ব্যথা দেয়।

১৪. হলুদ ও দুধ: এক কাপ কুসুম গরম দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিবেন। হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লেমটরি। গলার ব্যথা দ্রুত দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই হলুদ মেশানো গরম দুধ যেমন, কাশি ও সর্দি দূর করে, তেমনই ভাবে টনসিলের ব্যথা দূর করতেও বিশেষ কাজ করে।

১৫. টনসিল ফোলা কমানোর উপায় গলায় ব্যথা সাধারণত দেখা যায় যখন গলায় সংক্রমণ হয় এবং যখন টনসিল ফুলে যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটার সাথে থাকে সর্দি কাশি এবং জ্বর সহজ উপায় হলো কুলকুচি ব্যথা উপসংকারী ওষুধ এবং গরম পানিও আপনাকে গলা ব্যথায় সাহায্য করবে যদি আপনার গলা ব্যথা এক সপ্তাহ থেকে বেশি হয় তাহলে।

টনসিল ফোলার চিকিৎসা কি?:

টনসিল ফোলা কমানোর উপায় শীতকালে বা অন্য সময়ও এই টনসিলের সমস্যা বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়। এজন্য শীত আসার আগেই আমি অভিভাবকদেরকে পরামর্শ দিব যে আপনার বাচ্চাকে টন সিলেটিভ থেকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবেন। কারণ টন সিলেটিভ হলে আপনার বাচ্চার কিছু কিছু সমস্যা হয় যেমন, বাচ্চার গলায় ব্যথা করবে বাচ্চার জ্বর আসবে এবং খেতে সমস্যা হবে অনেক সময় গলার স্বর চেঞ্জ হয়ে যেতে পারে এই সমস্ত সমস্যা হলে আপনাদেরকে আতঙ্কিত না হয়ে আমি পরামর্শ দিব সামান্য কিছু মেডিসিন বিশেষ করে প্যারাসিটামল বা এন্টিহিস্টামিন এবং হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গড় গড়া করা।

এবং এই শীতকালে যাতে বাচ্চা ঠান্ডা জিনিস যেমন আইসক্রিম বা ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি বা পানিতে বেশিক্ষণ খেলাধুলা করা অথবা গোসল করার সময় লম্বা সময় পানিতে গোসল করা এরকম জিনিস থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখতে হবে। এবং বাচ্চা যাতে সব সময় বিশেষ করে সকালে এবং রাতে বা বিকালে গরম কাপড় যদি পরিধান করে থাকে সেদিকে আপনাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে আর কোন কারণে যদি অনেক সময় এই টনসিলেন্সের সমস্যা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় কিভাবে বুঝবেন বা দীর্ঘবাদী হয় যেমন প্রতি মাসে ২ বার ৩ বার বা বার বার বছরে পাঁচ সাত বার এরকম গলায় ব্যথা হয় জ্বর হয় বাচ্চার স্কুলে যেতে সমস্যা হয় সেরকম কিছু ক্ষেত্রে টনসিল ফোলা কমানোর উপায় অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা প্রয়োজন হতে পারে।

শেষ কথা:

টনসিলের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় প্রাকৃতিক এবং সাধারণ হতে চাইলেও যে কোনো নতুন অথবা অস্বাভাবিক লক্ষণ অনুভব হলে সরাসরি চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

পোস্ট ট্যাগ:
টনসিল ফোলা কমানোর উপায়
টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না
বাচ্চাদের টনসিল ফোলা কমানোর উপায়
টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ
টনসিলের ব্যথা কমানোর উপায়
টনসিলের সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত নয়?
বারবার টনসিলাইটিস কেন হয়
টনসিল স্থায়ীভাবে সারানোর উপায়
টনসিল সারানোর তিনটি ঘরোয়া উপায়
টনসিলের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছে সন্তান? এইসব ঘরোয়া টোটকার গুণেই হবে সমস্যার সমাধান
ওষুধ ছাড়াই টনসিলের ব্যথাকে জব্দ করুন এ সব উপায়ে

tonsillitis stones
Ṭanasila phōlā kamānōra upāẏa
tonsils stone