হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার উপায় HBSAG টেস্ট পজিটিভ এলে আমরা অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই ভয়ে পড়ে যাই। জানতে চাই, এটি নির্মূল করার কোনো চিকিৎসা আছে কি না এবং এটি নেগেটিভ হতে পারে কি না সেটা জানতে চাই?
নিচের সব তথ্যগুলোর প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে:
ক্রনিক হেপাটাইটিস বি এর চিকিৎসায় আমাদের বর্তমানে বেশ কয়েকটি অ্যান্টি-ভাইরাল ঔষধ আছে, যার সব কটি ঔষধ আমাদের দেশে এখন পাওয়া যায়। এসব ঔষধ বেশ কার্যকরভাবে আমাদের ভাইরাল লোড কমিয়ে আমাদের লিভারের প্রদাহ বন্ধ করে দিতে পারে এবং লিভার সিরোসিস হওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারে।
তবে এইসব ঔষধের সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন, এই চিকিৎসা হয় দীর্ঘমেয়াদি । এরা HBsAg নেগেটিভ করতে পারে শুধু মাত্র ৫-১০% ক্ষেত্রে। তবে জেনে রাখা খুব ভালো, এখানে প্রাপ্তবয়স্ক কারও হেপাটাইটিস বি সংক্রমিত হলে ৯৫% ক্ষেত্রেই কোনো অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ ছাড়াই এইস বি এস এজি নেগেটিভ হয়ে যায়।
তাহলে কী করবেন:
আপনার কোনো উপসর্গ না থাকলেও আপনার হেপাটাইটিস বি শরীরে আছে কি না, তা জানতে আজই রক্ত পরীক্ষা করে জেনে নিন এবং পজিটিভ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং নেগেটিভ হলে টিকা নিয়ে নিবেন। মনে রাখবেন চিকিৎসায় হেপাটাইটিস বি একদম পুরোপুরি নির্মূল না হলেও আমাদের লিভারকে সুস্থ রাখা সম্ভব। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে সবকিছু জানতে পারবেন।
হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ, প্রতিরোধ, প্রতিকার ও নির্ণয় পদ্ধতি:
হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার উপায় হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের চিকিৎসা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেননা হেপাটাইটিস বি ভাইরাস একটি মারাত্মক লিভার ধ্বংসকারী ভাইরাস যা চিকিৎসা না করলে পরে লিভার সিরোসিস হয়ে তার জটিলতা জনিত পেটে পানি, পায়ে পানি, রক্ত পানি, কালো পায়খানা, ঘনঘন অজ্ঞান হয়ে যাওয়া কিংবা মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে অথবা লিভার ক্যান্সার তৈরি করে সরাসরি মৃত্যু ঝুঁকি তৈরি করতে পারে অথবা এই ভাইরাসটি পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে কিংবা কর্মস্থলে অন্যান্য সহকর্মীর মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বহুলাংশে বেড়ে যায়। এ কারণে এ ধরনের রোগীরা ভালো কোন জায়গায় চাকরিপ্রার্থী হতে পারেন না কিংবা বিদেশ যেতে বিফল হন।
হেপাটাইটিস বি কিভাবে ছড়ায়, এর লক্ষণ ও চিকিৎসা কি:
হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার উপায় তাহলে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের এর চিকিৎসাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এখন চিকিৎসা করব কি কারনে। চিকিৎসা করবো আপনাদের আমরা রোগীকে এ ধরনের জটিলতা এবং রোগী যাতে ভাইরাসটি অন্যদের দেহের সংক্রমণ না ঘটান কিংবা রোগী যাতে ক্যান্সারের আবির্ভাব না ঘটে এই জন্য আমরা চিকিৎসাটি করব।
তাহলে চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য কি:
চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হলো দেহ থেকে সক্রিয় হেপাটাইটিস বি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া কিংবা দেহ থেকে বের করে দেওয়া। সেটি আমরা করে থাকি হেপারেটেস বি ভাইরাস ডিএনএকে নেগেটিভ করার মাধ্যমে। আমরা চিকিৎসা করার পূর্বে আমরা জেনে নেই রোগীর রক্তে এইচবিবি জিএমএফপি সিআর পরীক্ষার করে ভাইরাসের সংখ্যা কতটুকু রয়েছে ভাইরাস জিবিত কি মৃত রয়েছে, ভাইরাস সক্রিয় কি নিষ্ক্রিয় রয়েছে এবং চিকিৎসার লাগবে কিনা। হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার উপায় যদি দেখা যায় ভাইরাস জীবিত রয়েছে সক্রিয় রয়েছে সংখ্যায় বেশি রয়েছে তাহলে আমরা চিকিৎসা দিয়ে থাকি।
হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার উপায়:
এই চিকিৎসার উদ্দেশ্য হল হেপাটাইটিস বি ভাইরাস আনডিটেকটেড করা অর্থাৎ নেগেটিভ করা। এবং কোনভাবেই এইচ বি এস এজি চিকিৎসার এইচ বি এস এজি নেগেটিভ করার কোন লক্ষ্য কিন্তু থাকে না। আমরা এইচবিবি ডিএনএ পিসিআর যদি নেগেটিভ করতে পারি তাহলে আমরা ধরে নেই যে রোগী ভাইরাসের সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে মুক্ত থাকেন।
তাহলে এইচ বি এস এজি নেগেটিভ হয় কিনা:
হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার উপায় হ্যা সুপ্রিয় ভাই বোনেরা এইচ বি এস যে নেগেটিভ হয় দুটি ক্ষেত্রে, একটি হলো যদি কারো একিউট হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ইনফেকশন হয়ে থাকে অর্থাৎ অন্য দিক ছয় মাস ব্যাপী হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের প্রধাহ জনিত সমস্যা হয়ে যে লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় অর্থাৎ শরীর ম্যাজমেজ করা, শরীর দুর্বল লাগা, খাওয়াই প্রচন্ড অরুচি, বমি কিংবা বমি ভাব হওয়া,শরীরে জ্বর জ্বর অনুভূত হওয়া, শরীর জ্বালাপোড়া করা, পেটের উপরি ফাঁকে ডানদিকে ব্যথার কিংবা ব্যথার অনুভূতি হওয়া, একই সাথে চোখের রং এবং প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যে একিউর হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ইনফেকশন হয় সে ইনফেকশনের ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রায় ৯০ থেকে ১০০% ক্ষেত্রে এইচ বি এস এজি নেগেটিভ হয়ে যায়। তবে একিউট হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ইনফেকশনের সংখ্যা অনেক কম। হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার উপায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেটি হয় ক্রনিক হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ইনফেকশন হয়ে থাকে। এই ক্রনিক হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ইনফেকশনের ক্ষেত্রে আমরা চিকিৎসা করলে পরে মাত্র দুই থেকে সাত শতাংশ ক্ষেত্রে নেগেটিভ হয়ে যায়। আর বাকি ৯২% থেকে ৯৩% শতাংশ ক্ষেত্রেই এইচ বি এস এজি কিন্তু থেকে যায়।
তাহলে আমরা চিকিৎসা করি কেন?:
চিকিৎসা করার উদ্দেশ্য হলো দেহ থেকে এইচবিবিডিএনএপিসিআরকে নেগেটিভ করা কিংবা আনডেটেকটেড করা আমাদের ওষুধের মাধ্যমে এই কাজটি করে থাকে। কারো ক্ষেত্রে ইনজেকশন সহ চিকিৎসা করে থাকে কারো ক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র মুখে খাওয়ার ব্যবহার করে থাকি। এর ফলে দেখা যায় অত্যন্ত সাফল্য জনক ভাবে ছয় মাস কিংবা এক বছর এর মধ্যেই শরীর থেকে এইচবিবি ডিএনএ পিসিআর নেগেটিভ বা আনডিটেক্টেড হয়ে যায়। এবং যখন নেগেটিভ বা undetected হয়ে যায় যখনই আমরা ধরে নেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে এবং এই ভাইরাসের সংগ্রহ ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে রোগী মুক্ত থাকতে পারেন হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার উপায় এবং তিনি দীর্ঘমেয়াদে ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
হেপাটাইটিস ‘বি’ প্রতিরোধ করা যায়:
হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের সংক্রমণ হলে তা শরীর থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে, অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের মাধ্যমে ভাইরাসের সংখ্যা কমিয়ে আনা যায় এবং লিভারের প্রদাহ বন্ধ করা যায়। এতে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা, যেমন লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়।
হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের মধ্যে রয়েছে:
১. এনুরিভার (Entecavir)
২. টেনোফোভির (Tenofovir)
৩. এডফোভির (Adefovir)
৪. ল্যামিভুডিন (Lamivudine)
৫. থ্যালিডোমাইড (Thalidomide)
হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার উপায় এই ওষুধগুলি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি, অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে সেবন করতে হয়। ওষুধের কার্যকারিতা নির্ভর করে রোগীর বয়স, লিভারের ক্ষতির মাত্রা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার উপর।
হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ছাড়াও অন্যান্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, যেমন:
১. স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া
৩. ধূমপান এবং মদ্যপান পরিহার করা
হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে টিকা দেওয়ার বিকল্প নেই। বাংলাদেশে শিশু জন্মের পরই হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়। এই টিকা তিনটি ডোজ নিলে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে স্থায়ী প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের সংক্রমণ হলে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলি দেখা দিতে পারে:
১. জন্ডিস
২. চোখ ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া
৩. খাবারে অরুচি
৪. বমি বমি ভাব
৫. দুর্বলতা
৬. মাথাব্যথা
৭. পেটব্যথা
এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শেষ কথা এবং সতর্কতা:
হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার উপায় আজ আমরা জানলাম এইচ বি এস এজি নেগেটিভ করার চিকিৎসা কিভাবে করা হয় এবং নেগেটিভ কাদের হয় এবং নেগেটিভ না হয়েও রোগীরা কিভাবে ভালো থাকতে পারে সেই বিষয়ে। আপনারা অবশ্যই এই বিষয়গুলো জানার পর নিজস্ব কোন স্থানের ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখাবেন তারপরে চিকিৎসা নিবেন তারপরে ওষুধ খাবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শে চলবেন তাহলে দেখবেন আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তাই এদিক-ওদিক না ভেবে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পোস্ট ট্যাগ:
হেপাটাইটিস বি কি ভাল হয়
হেপাটাইটিস বি হলে কি কি খাওয়া নিষেধ
হেপাটাইটিস বি কি ছোঁয়াচে রোগ
হেপাটাইটিস বি কি নেগেটিভ হয়
হেপাটাইটিস বি একবার পজিটিভ হলে কি নেগেটিভ হয়
হেপাটাইটিস ‘বি’ প্রতিরোধ করা যায়
হেপাটাইটিস প্রতিরোধে যা মেনে চলবেন – Jugantor
হেপাটাইটিস বি লক্ষণ ও হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার উপায়
Hepaṭa’iṭisa bi negeṭibha karara upaẏa
Hepatitis B – Disease
Dysentery – Disease