ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ, ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ আমরা সবাই জানি ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ সুতরাং অন্যান্য ভাইরাসের মত প্রায় কাছাকাছি সব ধরনের লক্ষণ এটিএম গতি বিরাজমান। আজ আমরা জানবো, ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ, ডেঙ্গু কি?,ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে,ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার,ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা, ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে, ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা, ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকার, ডেঙ্গু মশা চেনার উপায়, ডেঙ্গু শুরু হয় সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রা জ্বর দিয়ে।  এখন জ্বরটা প্রথম থেকে অনেক উচ্চ তাপমাত্রায় 103, ১০৪, ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট হতে পারে এবং সেইসাথে শুরু হয়

কিছু ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ..

১. রোগীর প্রচন্ড গা ব্যথা

২. শরীর খুব দুর্বল

৩. চোখে ব্যথা পিছনে ব্যথা

৪. এবং ও হারে হারে ব্যথা

এই জ্বরটা কিন্তু আর একটা নাম আমরা বলি ব্রেক বোন ফিভার, মানে হাড়ভাঙ্গা জ্বর। এই জ্বরের সাথে অন্যান্য লক্ষ্যের মধ্যে থাকবে আমার মাথা ব্যাথা, ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ রোগীর শরীর খুব দুর্বল আর নেসতেজ হয়ে পড়ে এবং এর সাথে সাথে যে ডেঙ্গুটা আমরা ভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি  সেটা হচ্ছে যে জ্বরের সাথে সাথে নাক দিয়ে পানি পড়ছে এবং রোগীর ডায়রিয়া যা আমরা আগে কখনো দেখতে পাইনি। এবং ডেঙ্গুর আগে প্রথম দিকে ২০০১-২০০৩ এবং ২০১০ শেষের দিকে যে ডেঙ্গুগুলো হত এবং ২০১৯ সালেও যে ডেঙ্গু আমরা দেখতে পেয়েছি সেটা হচ্ছে রেশ মানে দুই দিন তিন দিন পার হলেই রোগীর গায়ে রেশ চলে আসতো কিন্তু এবার রোগীর শরীরে রেশ আসছে না।ফলে রোগীরা অনেকে অসচেতন থাকে যে ডেঙ্গু হয় নাই সে ধরে নেয় যে ডেঙ্গু হয় নাই।

ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়:

সুতরাং ডেঙ্গু  হলে কি করবেন এ সমন্ধে আমি বলতে হলে আমার আগে ডেঙ্গু হলে আমাদের কি হয় সে জিনিসটার লক্ষ্য করে আমাদের কি করতে হবে সেটা ঠিক করার উচিত। কারণ কি ঘটবে এটা যদি আমি না জানি তাহলে আমি অনেক কিছু করতে পারি নন  স্পিসিফিক এবং যেটা আমার কোন কাজে আসবে না। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে দুইটা ডেন্ডারাস ঘটনা ঘটতে পারে একটা হচ্ছে রোগীর ব্লাড প্রেসার যেটাকে আমরা বলি বিপি কিংবা প্রেসার কমে যাওয়া। আরেকটা হচ্ছে আমার রোগীর প্লাটিলেট কাউন্ট কমে যাওয়া।

ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে:

ডেঙ্গু রোগটাকে নিয়ে একটু সচেতন হবার একটা সময় যেন আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে আমরা যে আমাদের যে জ্বর হয় বিভিন্ন কারণেই হোক না কেন আমি একটু অনেক সময় ধৈর্য রাখতে চাই একদিন দুইদিন তিনদিন দেখতে চাই যে গতি প্রকৃতি কেমনটা হয় কিন্তু এই রোগের বেলায় ব্যাপারটা অন্যরকম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তো এই সময়টাতে যে সময় থেকে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব।এই সময় জ্বরের সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আপনার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। নতুবা সেক্ষেত্রে আমাদের কিন্তু জীবন হানি করার একটা পরিস্থিতি আমার উদ্ভব হতে পারি।

ডেঙ্গু কি?:

এটা একটা মশাবাহিত রোগ এবং এডিস মশা নামের একটি ভদ্র মশা এর একটি সামন্ত ছড়িয়ে থাকে এবং এই যে বর্ষাকাল চলছে এই বর্ষাকালে যে আবহাওয়া কিছুটা সময় গরম লাগছে কিছু সময় বৃষ্টিপাত হয় আবহাওয়াটার মধ্যে একটা অন্যরকম অনুভূতির বিরাজ করছে। এই রকম কম্বিনেশন আবহাওয়াটা এই রোগ এই মশার বিস্তারের একটা অন্যতম উপাদান। পাশাপাশি আমরা জানি পরিষ্কার পানি জমে থেকে এই মশা তৈরি হয়ে থাকে উৎপন্ন হয়ে থাকে এবং এই মশাগুলো একটু অন্যরকম বৈশিষ্ট্য হলো যে মশাগুলো দিনের বেলায় কামড় দেয়।

শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ প্রতিকার:

একজন শিশু চিকিৎসক হিসেবে আমার আজকের আলোচনা শিশুদের ডেঙ্গু রোগের বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। তো আসুন আমরা বলছিলাম যে ডেঙ্গু রোগ কিভাবে ছড়ায়। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি এডিস নামক একটি মশা আমাদেরকে কামড়ালে এই রোগটা আমাদের শরীরে জীবনটা প্রবেশ করে এই রোগের কারণ হয়ে থাকে। তো এই রোগ যখন আমাদের শরীরে আসে তাহলে আমরা এটাকে কিভাবে চিনব।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ সাধারণত ডেঙ্গু রোগের কাজেই তো ডেঙ্গু জ্বর।  জ্বর এখানে অত্যন্ত আবশ্যক এবং দেখা যায় যে এই জ্বর সাধারণত দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত বিরাজ করতে পারে এবং এই জ্বরের সাথে কিছু কিছু উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক যে গাইডলাইনটা প্রণীত হয়েছে সেখানে এই ডেঙ্গু জ্বরটাকে তিন ভাগে ভাগ করে ফেলা হয়েছে । একটা সাধারন মানে ডেঙ্গু জ্বর আমরা বলি ক্লাসিকাল ডেঙ্গু ফিভার তারপর আছে যেটা মাঝারি মানের ডেঙ্গু মডারেট ডেঙ্গু ফিভার আরেকটা হচ্ছে তীব্রমাত্র ডেঙ্গু জ্বর।

তো আসুন আমরা সাধারণভাবে ডেঙ্গু জ্বর থেকে শুরু করি:

তাহলে জ্বরের সাথে যদি এমন হয় যেমন দেখা যাচ্ছে তার বমি বমি ভাব খাওয়ার অরুচি এবং শরীরের বিশেষ বিশেষ জায়গা যেমন অস্থিসন্ধি মাংসপেশি চোখ এবং শরীর যেকোনো জায়গায় যদি তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে কিন্তু আমরা ধরে নিতে পারি এটা ডেঙ্গু রোগ হতে যাচ্ছে। এবং এমনটি বলা হয়ে থাকে তাকে বলা হয় ব্রেক বোন ফিভারমানে হাড্ডি ভাঙা জ্বর অনেক ব্যথা তীব্রতা এমনই যে আমরা বলতে পারি যে এটা একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য এই জ্বরের জন্য। মাঝেমধ্যে চোখের পিছনে ব্যথা হয় এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এই ধরনের লক্ষণগুলো যদি কেউ এসে থাকে তাকে আমরা বলতে পারি সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর।

এরপর যেটা বলছিলাম যে মাঝারি মানের ডেঙ্গু জ্বর আমরা কখন বলি:

এই জ্বরের সাথে যদি কেউ কেউ আরো কিছু অন্যরকম লক্ষণ নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয় যেমন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ তীব্র পেটব্যথা এবং বমি এবং এমন বমি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া যেমন দেখা যাচ্ছে আমরা হাত পা ছেড়ে যাওয়া আমাদের একদম চলাফেরা যেন কোন শক্তি নাই।এরকম একটা পরিস্থিতি যখন হয়ে যায় মানে আমরা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ি পাশাপাশি শরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেমন নাক থেকে রক্তপাত, দাতের মাড়ি থেকে রক্তপাত, রক্তবমি এবং অনেক সময় কালো পায়খানাও দেখতে পাই। তো এই যে বিষয়গুলো আসছে এই বিষয়গুলো যখন যুক্ত হয় তাহলে এটাকে আমরা বলছি মাঝারি মানের ডেঙ্গু।

এবার আসুন জেনে নেই আমরা সেই তীব্র ডেঙ্গু কিভাবে চিনব:

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ তীব্র ডেঙ্গুর  যে লক্ষণ গুলোর একটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে আমাদের রক্তপাত। যেগুলো আমি বলছিলাম যে রক্ত যুক্ত হয়ে যায়। তখন সে অবশ্যই তীব্র ডেঙ্গুর দিকে চলে যাচ্ছে বলে ধরে নিতে হবে।তো আমরা বলছিলাম তীব্র ডেঙ্গু কিভাবে চিনব। একটা  বলছিলাম রক্তপাত হওয়া একটা বলছিলাম প্লাজমা লিকেজ। প্লাজমা হচ্ছে আমাদের শরীরের রক্ত রস যা শরীর থেকে শরীরের যে আমাদের রক্ত নালীগুলোর মধ্যে সে ভেসে বেড়াচ্ছিল সেখান থেকে এসে বেরিয়ে যাচ্ছে। এমন একট ঘটনা ঘটলো সে শরীরের মধ্যে যে রক্ত বেরিয়ে শরীরে পেটের মধ্যে অথবা কোন ফুসফুসের মধ্যে সে চলে গেল। তো যখন এরকম ঘটনা ঘটে তখন দেখা গেল পেটটা ফুলে গেল ফুসফুসের পানি জমে ফুসফুসে শ্বাসকষ্ট হলো। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ তাহলে এই যে একটা অন্যতম উপাদান এটাকে আমরা বলছি এটা একটা তীব্র ডেঙ্গুর একটা লক্ষণ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের আক্রান্ত হওয়া। যেমন লিভার আক্রান্ত হয়ে গেল, যেমন কিডনি আক্রান্ত হয়ে গেল, তার দেখা গেল যে ব্রেইন আক্রান্ত হয়ে গেল। এগুলোকে আমরা বলছি তীব্র ডেঙ্গু।

ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা:

১- পানি খাওয়া: ডেঙ্গু রোগের সময়ে রোগীর কোষের ত্বক এর ওপর পানি অনেকটাই প্রয়োজন হয় । তাই প্রতি ঘন্টায় আমাদের পানি খাওয়া উচিত।

২- শারবত এবং পেঁয়াজ রস: ডেঙ্গু রোগে শারবত এবং পেঁয়াজের রস শারীরিক শক্তি বাড়াতে খুব সাহায্য করে থাকে।

৩- প্যাপায়া এবং পারমালূ তেল:- কিছু মানুষ বলেন যে, ডেঙ্গু রোগে প্যাপায়া এবং পারমালূ তেল ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ করে। তবে, এটা সঠিক প্রমাণ বা বিজ্ঞাপন এই ধারণার সাথে সাময়িক চেয়ে তবে আমাদের অধিক সতর্ক থাকতে হবে।

৪- প্রাকৃতিক প্রস্তুতি: কিছু প্রাকৃতিক প্রস্তুতি যেমন তুলসির পাতা, নেমের পাতা ইত্যাদি ডেঙ্গু রোগে সাহায্য করতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে:

ডেঙ্গু জ্বরের সময়ে নিম্নলিখিত খাবার ও পানি প্রয়োজনীয়:–

১- পানি: ডেঙ্গু জ্বরের সময়ে শরীর থেকে পানি সাধারণভাবে আমাদের অধিক প্রয়োজন। প্রতি ঘন্টায় প্রায় 2-3 লিটার পানি পান উচিত আমাদের। তাপমাত্রা কমানোর জন্য ঠান্ডা পানি বা ইলেক্ট্রোলাইট সহ পানি খাওয়া।

২- শারবত ও জুস: প্রাকৃতিক শারবত বা জুস আমাদের ডেঙ্গু জ্বরে উপকারী হতে পারে। শারবতে প্যাপায়া, আম, অ্যামরোলা,টমেটো ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে আমাদের।

৩- সুস্থ খাবার: সুস্থ ও পরিস্কার খাবার খেতে হবে আমাদের , যেমন ডাল, মাছ, ডিম, সবজি ইত্যাদি। প্রসিদ্ধ খাবার, তেল, চিনি, ড্রাই ফ্রুট ইত্যাদি অত্যধিক মাত্রায় খেতে থাকলে প্রতিবন্ধক হতে পারে আমাদের।

৪- প্রোটিন যুক্ত খাবার: ছানা, ডাল, মাংস, ডিম ইত্যাদি প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে আমাদের। এটি আমাদের শরীরের প্রোটিন স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৫- প্রতিবন্ধক খাবার: চিনি, তেল ও অতিরিক্ত মসলা ইত্যাদি খাবার কম খাওয়া উচিত।

ডেঙ্গু মশা চেনার উপায়:

ডেঙ্গু মশা -(এডিস এজিপ্টাই)- প্রচলিত হওয়া একটি জনপ্রিয় এবং ব্যাপক সমস্যা। এই মশা জীবন চালিত জলাবদ্ধ নোংরা জায়গাগুলি পছন্দ করে, এবং এই মশার কারণে ডেঙ্গু জ্বর অতি কঠিন এবং চিন্তাজনক রোগটি আসে পাশে ছড়িয়ে পড়ে।

ডেঙ্গু মশা চেনার উপায় এবং প্রতিরোধের কিছু প্রাথমিক ধাপ নিম্নে উল্লেখ করা হল:-

১- পানির সংগ্রহ প্রতিবন্ধী: যখনই সম্ভব, আমাদের পানির সংগ্রহ করা জলাবদ্ধ জায়গাগুলিতে মশার বাসা বাধার তৈরি হওয়ার সুযোগ কমে যায়।

২- জলাবদ্ধ প্রান্তে জরাসমুহ নিস্তারিত করা: বাড়ির ডালান বা পাশে এবং অন্যান্য জরাসমুহ যেমন, পোলাদের গাছ, ঝাড়ু, গর্ত ইত্যাদি থেকে জলাবদ্ধ প্রান্তের জরা নিস্তারিত করা একদম উচিত।

৩- মশা নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিবন্ধক ব্যবহার করা: ডেঙ্গু মশার বিরুদ্ধে আমাদের বিভিন্ন প্রতিবন্ধক প্রয়োজন হতে পারে, যেমন মশা মড়ে যাওয়া ধুপন্ত বা কীটনাশক। তবে, প্রতিবন্ধক ব্যবহারের সময় আমাদের সতর্কতা অবশ্যই প্রয়োজনীয়।

৪- নিয়মিত চিন্তা এবং সাবধানি প্রয়োগ করা: ডেঙ্গু মশার প্রতিরোধ করতে নিয়মিত চিন্তা এবং সাবধানি প্রয়োগ করতে হবে । স্থানীয় সরকার এবং স্বাস্থ্য সংস্থা অধিকারীদের সাথে আমাদের যোগাযোগ করা যেতে পারে এবং প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণে সহায়তা পাওয়া যাবে।

৫- প্রতিরোধাবস্থান তৈরি করা: বাড়ির আশেপাশে আমাদের প্রতিরোধাবস্থান তৈরি করা যেতে পারে, যাতে মশাগুলা জনসম্মুখীন থাকে।

শেষ কথা:

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ । আলোচ্য পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করার পরও যদি না কমে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।