কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ, কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ আপনি কি জানেন তরুণদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের হার বাড়ছে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির গবেষণা সহ বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী তরুণদের মধ্যে কোলন ক্যান্সার সনাক্ত হওয়ার হার বাড়ছে এবং এত দ্রুত গতিতে এটা হচ্ছে যে বিজ্ঞানীরা ও বিস্মিত হয়ে পড়েছেন। কোলন ক্যান্সার কি, ঠিক কি কারনে কোলন ক্যান্সার হয়ে থাকে, কিভাবে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব, কখন ডাক্তার দেখাবেন এবং কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ তা জানতে পারবেন এখন। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে আপনারা এখান থেকে এই রোগ থেকে বাঁচার মুক্তি পাবেন।

আজ, আমরা *কোলন ক্যান্সার* এর বিশদ উপাদানগুলি, যা কোলোরেক্টাল ক্যান্সার নামেও পরিচিত, এর লক্ষণ, কারণ, কোলন ক্যান্সার কাদের হয়, কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা, কোলন ক্যান্সার কি নিরাময়যোগ্য এবং প্রতিরোধের পদ্ধতিগুলি ব্যবচ্ছেদ করব।

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ
কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ

কোলন ক্যান্সার কি?

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ এটা এক ধরনের ক্যান্সার যা দেহের বৃহৎ অংশের অংশে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বৃদ্ধির কারণে সৃষ্টি হয় এটা মলাশয়ের ক্যান্সার বা বৃহতন্ত্রের ক্যান্সার নামেও পরিচিত। আমাদের শরীরে যে পরিপাকতন্ত্র অর্থাৎ সেই পরিত্যাগ পরিপাকতন্ত্রের যে সর্বশেষ অংশটা সে অংশটাকে আমরা বলি কোলন বাংলায় বলি বৃহদন্ত্র এবং কলমের পরে একটা অংশ যা মলদ্বারের জাস্ট একটু উপরে যেটাকে আমরা বলি মলাশয় বা রেকটাম। তো আমরা এই জায়গায় নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন, বিনাইন বা অক্ষতিকারক ধরনের টিউমার হতে পারে, আবার যে এই যে

কোলোনের যে ভিতরের দিকটার যে আবরণী কোষ থাকে মানে আবরণী কলা গুলি আবার কোষ গুলার মধ্যে কিছু পরিবর্তন হতে পারে। পরিবর্তন হলে প্রথমে পলিপের মতো মানে একটু ফুলকপির মত এরকম একটি হতে পারে যেগুলি পরবর্তীতে খারাপ দিকে টান নিতে পারে। মানে কলোনে ক্যান্সার হয়ে যেতে পারে যা আমাদের শরীরে পরবর্তীতে সবখানেই ছড়িয়ে পড়ে এবং আমাদের বাঁচার আশা প্রায় 90% কমে যায়।

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ বিশ্ব জুড়ে যত রোগী ক্যান্সার আক্রান্ত হয় তার মধ্যে আক্রান্তর হিসেবে তৃতীয় বৃহত্তম হল কোলোরেক্টাল ক্যান্সার।

কোলন ক্যান্সারের কারণ:

গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কোলন ক্যান্সারের নির্দিষ্ট কোন কারণ পাওয়া যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয়ে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সেগুলো হলো:
• বয়স
• ব্যায়াম
• খাদ্য অভ্যাস
• মদ্যপান ও ধূমপান
• অতিরিক্ত ওজন
• পারিবারিক ইতিহাস
• কোলন পলিপের ব্যক্তিগত ইতিহাস
• প্রদাহজনক অন্ত্রের অবস্থা
• কোলন ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস
• খাদ্যে চর্বি বেশি এবং ফাইবার কম
• ডায়াবেটিস
• স্থূলতা
• অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন

১.বয়স: কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ বয়স ৫০ পার হয়ে গেলে এই ক্যান্সার হবার ঝুঁকি বাড়ে । কোলন ক্যান্সারে ভুগতে থাকা প্রতি ১০ জনের নয় জনের বয়সী ৬০ বা তার চেয়ে বেশি। যদিও এখন তরুণদের মধ্যেও এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার হার বাড়ছে।

২. খাদ্য অভ্যাস : অতিরিক্ত মাংস খাওয়া এবং খাদ্য তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের স্বল্পতা থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।

৩.ওজন : অতিরিক্ত ওজন যাদের রয়েছে তাদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

৪. ব্যায়াম: যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম না করা হলে কোলন ক্যান্সারের ঝুমকে বৃদ্ধি পায়।

৫. মদ্যপান ও ধূমপান: মধ্যপানে ধূমপান করুন ক্যানসেল ঝুঁকি বাড়াতে পারে ।

৬-পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারের কোনো সদস্যের যেমন বাবা, মা বা ভাই-বোনের যদি পঞ্চাশের কম বয়সে যদি কোলন ক্যান্সার হয় তাহলে ওই ব্যক্তিরও ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, এছাড়া অন্তরের প্রদাহ জনিত রোগ কোলন পলিপ থাকলেও কোলন ক্যান্সার হবার ঝুঁকি থাকে অনেক।

এছাড়া মলত্যাগের জন্য হাই কমোড ব্যবহার করা কোলন ক্যান্সারে ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন তথ্য উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়।

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ:

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ এমন একটি অবস্থা যা বৃহৎ অন্ত্রে (কোলন) শুরু হয়। ক্যান্সারের এই রূপটি সাধারণত বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের প্রভাবিত করে, তবে এটি যেকোনো বয়সে ঘটতে পারে। এটি সাধারণত অ্যাডিনোমেটাস পলিপ নামে পরিচিত কোষের ছোট, সৌম্য ক্ল্যাম্প হিসাবে শুরু হয়, যা সময়ের সাথে সাথে কোলন ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে প্রাথমিকভাবে কোলন ক্যান্সার নির্ণয় করা অত্যন্ত কঠিন তবে কোলন ক্যান্সারের প্রধান উপসর্গ তিনটি সেগুলো হল মলের সাথে নিয়মিত রক্ত নির্গত হওয়া মলের সাথে রক্ত নির্গত হয় সাধারণত পাকস্থলের কার্যক্রমে পরিবর্তন হলে,পাকস্থলীর কার্যক্রমের দীর্ঘমেয়াদে পরিবর্তন এরকম সময় রোগির সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশি মল ত্যাগ করে এবং মল অপেক্ষাকৃত তরল হয়ে থাকে।

তলপেটে ক্রমাগত ব্যথা, পেট ফোলা বা অসস্তি বোধ করা এই উপসর্গের সাথে সাধারণত খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন খাবার রুচি হারানো বা ওজন হারানোর বিষয়গুলো দেখা যায়। এছাড়া ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য মলত্যাগ করার পরও বারবার মলত্যাগের ইচ্ছা হওয়া বা রক্তে আয়রনের স্বল্পতার মত উপসর্গ দেখা যায় কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে।

ক্রমাগত ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য:
কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ অন্ত্রের অভ্যাসের পরিবর্তন। এটি ক্রমাগত কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়াতে উদ্ভাসিত হতে পারে। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা লক্ষ্য করতে পারেন যে তাদের মল স্বাভাবিকের চেয়ে সংকীর্ণ। এই বৈচিত্রগুলি, সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে, চিকিৎসা পরামর্শের কারণ।

অন্ত্র সম্পূর্ণরূপে খালি হয় না এমন অনুভূতি:
আরেকটি উপসর্গ হল অবিরাম সংবেদন যে আপনার অন্ত্র সম্পূর্ণ খালি নয়। মলত্যাগের পরেও এই অনুভূতিটি অব্যাহত থাকে, অস্বস্তি এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

রেকটাল ব্লিডিং বা ব্লাড স্টুল:
কোলন ক্যান্সারের শিকার ব্যক্তিরা প্রায়শই মলদ্বার থেকে রক্তপাত অনুভব করে বা তাদের মলে রক্ত আবিষ্কার করে। যদিও ব্যক্তিদের অর্শ্বরোগ বা অন্যান্য কম গুরুতর সমস্যাগুলির জন্য এটিকে ভুল করা সাধারণ, এই উপসর্গটিকে কখনই উপেক্ষা করা উচিত নয়।

ক্লান্তি বা দুর্বলতা:
চলমান ক্লান্তি বা দুর্বলতা হল কোলন ক্যান্সারের আরেকটি সুস্পষ্ট লক্ষণ। যদিও আমাদের দ্রুতগতির বিশ্বে সিস্টেমের ক্লান্তি সাধারণ, দীর্ঘস্থায়ী, ব্যাখ্যাতীত ক্লান্তি চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন কমানো:
কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ কোনো পরিচিত কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া একটি সতর্কতা হিসেবে কাজ করবে এবং এটি কোলন ক্যান্সারের দিকে নির্দেশ করতে পারে। অব্যক্ত ওজন হ্রাস হতে পারে কারণ ক্যান্সার কোষগুলি আপনার শরীরের শক্তির বেশি ব্যবহার করছে।

প্রতিরোধ:
চিকিৎসা জগতের অগ্রগতি সম্ভাব্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার পথ প্রশস্ত করেছে। যেহেতু কোলন ক্যান্সার সাধারণত পলিপের বৃদ্ধির সাথে শুরু হয়, সেহেতু এই বৃদ্ধিগুলিকে তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করা এবং অপসারণ করা ক্যান্সারে রূপান্তরিত হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে।

কোলন ক্যান্সার নির্ণয় করা হয় যেভাবে:

কোলন ক্যান্সার নির্ণয়ের কয়েকটি ধাপ আছে, তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো ৪৫ বছর বয়স থেকেই নিয়মিত চেকআপ করানো উচিত। বিশেষ করে যারা ক্যান্সারের ঝুঁকির মধ্যে আছেন। কোলন ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য কয়েক ধরনের পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। যেমন:-

১. প্রতিবছর ফিকাল ইমিউনোকেমিক্যাল টেস্ট বা এফ আই টি করানো।
২. ফিকাল অক্লাট ব্লাড টেস্ট বা (gFOBT) ও করতে হবে প্রতিবছর.
৩. প্রতি তিন বছরে একবার (mt-sDNA) মাল্টি টার্গেটেড স্টুল ডিএনএ টেস্ট পরীক্ষা করা।
৪. প্রতি ১০ বছরে একবার কোলোনোস্কপি করানো।
৫. সিটি কোলনো গ্রাফি করা বা ভার্চুয়াল কোলোনোস্কোপি করা প্রতি ৫ বছরে একবার।
৬. পাঁচ বছর পর পর সিগময়েডোস্কপি করানো।

এছাড়া আলট্রাসনোগ্রাফি সিটি স্ক্যান এমআরআই এগুলোর মাধ্যমে সরাসরি ক্যান্সার সনাক্ত করার না গেলেও ক্যান্সারের উৎস কেন্দ্রস্থল আকৃতি ইত্যাদি নির্ণয় করা যায়।

কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা:

একজন রোগীর মধ্যে কি ধরনের উপসর্গ আছে তার উপর এই নির্ভর করে ডাক্তার পরামর্শ দেবেন রোগের কোন ধরনের টেস্ট প্রয়োজন। কোলন ক্যান্সারের বিভিন্ন স্টেজ আছে, ক্যান্সারটি কোন স্টেজে আছে তার উপরে নির্ভর করে এর চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সার্জারি এটি কোলন ক্যান্সারের জন্য খুবই প্রচলিত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি।
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীদের ক্ষেত্রে সার্জারি পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
রেডিয়েশন থেরাপি কেমো থেরাপি বায়োলজিক্যাল ইমিউন থেরাপি আর চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর যত্ন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ সাধারণত কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে সার্জারি করাতে হয় অপসারণের জন্য আর সার্জারির পর রোগীর পোশাক পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন রোগীকে হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পরাতে হবে। আর গোসল করাতে হবে ক্ষত সেরে যাবার পর. সব সময় রোগীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যেন কোন ধরনের ইনফেকশন না হয়। এছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্যায়াম রোগীর শরীর স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

ঝুঁকির কারণ বোঝা:

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণগুলি সনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রাথমিক সনাক্তকরণ সরাসরি সফল চিকিত্সার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। যেমন, নিয়মিত স্ক্রীনিং আপনার স্বাস্থ্যসেবা রুটিনের একটি অংশ হওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি আপনি উচ্চ ঝুঁকি হিসাবে যোগ্য হন।

কোলন ক্যান্সার এবং এর উপসর্গ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির উপর জোর দেওয়া যাবে না। এই নিবন্ধটির লক্ষ্য কোলন ক্যান্সারের আশেপাশের সমালোচনামূলক বিবেচনার উপর আলোকপাত করা, এইভাবে আপনাকে এটি থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে সজ্জিত করা।

কখন ডাক্তার দেখাবেন:
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার মান বিভিন্ন রকমের এবং ক্যান্সার টি স্ক্রিনিং এর মাধ্যমে কত আগে ধরা পড়ল তার উপরই অনেকটা নির্ভর করছে রোগের সুস্থ হবার হার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওজন পরিমিত রাখা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিয়ে প্রায় ৪৫% কমে যায়। কাজেই এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ উপরের লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়ার পরপরই ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। যদি কোলন ক্যান্সার হওয়ার কারণ থাকে; তবে তা পরীক্ষা করা উচিত।

পোস্ট ট্যাগ:-

কোলন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ
কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ
কোলন ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়
কত বছর বয়সে কোলন ক্যান্সার হয়?
কোলন ইনফেকশন কতটা গুরুতর?
পেটে ইনফেকশন এর লক্ষণ
কোলন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ
কোলন ক্যান্সার লক্ষণ
কোলন ইনফেকশন লক্ষণ
মহিলাদের কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ

কোলন ক্যান্সার – লক্ষণ, ঝুঁকি এবং চিকিত্সার ধরন
Colon Cancer: ৫ লক্ষণ: চিনিয়ে দেবে কোলন ক্যানসার
কীভাবে বুঝবেন কোলন ক্যান্সার?
কোলন ক্যান্সার হলে নারীরা যেভাবে বুঝবেন
colon cancer symptoms in bengali