অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ অর্থাৎ আমাদের শরীর যদি অপুষ্টি বা অতিপুষ্টিতে ভুগে থাকে তাহলে আমরা কোন কোন লক্ষণগুলো আমাদের শরীরে দেখতে পাব সে বিষয়টি মূলত এখানে আলোচনা করব। আজকে আমরা জানবো,অপুষ্টি কি, অতিপুষ্টি কি ,অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণগুলো কি কি, অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির পার্থক্য, অপুষ্টি প্রতিরোধের উপায়, অপুষ্টি কেন হয়, অপুষ্টি খাবার কি কি, অপুষ্টি থেকে সুস্থ হতে কতদিন সময় লাগে, অপুষ্টি ও অতি পুষ্টির কারণ, ইত্যাদি আমরা আজকে সবকিছু আলোচনা করব তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন ইনশাআল্লাহ অপুষ্টি এবং অতিপুষ্টি থেকে মুক্ত হতে পারবেন।
অপুষ্টি কি?
অপুষ্টি হল শরীরে কোন শক্তি বা ক্যালোরি না থাকা এবং শরীর স্বাস্থ্য চিকন হওয়া এবং শরীর রোগা পাতলা হওয়া এবং কোন খাদ্য খেতে না পারা এবং স্বাস্থ্য চিকন হওয়ার কারণে এবং ভালো ভালো খাবার না খেতে পারার কারণে শরীরে যে রোগ বা পুষ্টিহীনতা দেখায় তাকে অপুষ্টি বলে।
অপুষ্টি শারীরিক লক্ষণ:
১- দেহের ওজন স্বাভাবিক বা কাম্যমাত্রা চেয়ে কম থাকে ,অর্থাৎ একজন ব্যক্তি যখন অপুষ্ট জনিত রোগে ভোগে তখন তার দেহের স্বাভাবিক ওজন কমে যায়।
২. শরীরে ভিটামিন ঘাটতি, রক্তশূন্যতা এবং হাড়ের ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকেন। অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ অর্থাৎ যে ব্যক্তি অপুষ্টিতে ভোগে তার শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা যায় ভিটামিন ঘাটতি দেখা যায় এবং তার হাড়ে ক্ষয় রোগ সৃষ্টি হয়।
৩. কর্ম ক্ষমতা কম থাকে অর্থাৎ সে খুব বেশি কাজ করতে পারে না অল্প কাজ করলেই সে ক্লান্ত হয়ে যায়।
৪. সবশেষে বলা হয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় অর্থাৎ তার দেহের মধ্যে ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ করার যে ক্ষমতাটি সেটি ধীরে ধীরে কমে যায়। এটি হচ্ছে মূলত অপুষ্টিতে আক্রান্ত হওয়া যে সকল ব্যক্তিরা রয়েছেন তাদের শারীরিক লক্ষণগুলো।
এক কথায় অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ গুলো হলো:
ক্লান্তি এবং শক্তির অভাব
অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস
পেশী দুর্বলতা এবং অপচয়
পেটে সমস্যা
দাঁতের সমস্যা
প্রতিবন্ধী ক্ষত নিরাময়
দুর্বল ইমিউন সিস্টেম
ভঙ্গুর চুল এবং নখ
শুষ্ক এবং ফ্যাকাশে ত্বক
শিশুদের বৃদ্ধি এবং বিকাশ বিলম্বিত হয় পড়ে।
অতিপুষ্টি কি:
অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ অতিপুষ্টি হলো একজন স্বাভাবিক মানুষের জন্য পুষ্টি উপাদান খাবার যে পরিমাণে প্রয়োজন তার চেয়ে যেকোনো একটি পুষ্টি উপাদান খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করলে তাহলে তার অতি পুষ্টি সমস্যা দেখা দিবে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তির শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় যদি অতিরিক্ত পুষ্টি থাকে তখন সেটিকে বলা হয় অতিপুষ্টি আর এ ধরনের সমস্যা হলে তার শরীরে কোন কোন লক্ষণগুলো আমরা দেখতে পাই সেগুলো আমরা নিচে পড়বো >
অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ:
১. ওজনের বৃদ্ধি: প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হল ব্যক্তির ওজনের অপূর্ণ বৃদ্ধি। দেহের ওজন স্বাভাবিক বা কাম্যমাত্রা চেয়ে বেশি থাকে অর্থাৎ যার শরীর অতি পুষ্টিতে ঢুকে থাকে তার শরীরে কিন্তু ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়।
২. পেটে বা মেদ সংক্রান্ত সমস্যা: অতিপুষ্টির ব্যক্তিদের পেট বা মেদে ব্যথা, সুস্থ ও অসুস্থ অনুভূতি হতে পারে।
৩. শ্বাসকষ্ট: কিছু অতিপুষ্ট ব্যক্তিরা শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে পারে যেটি শ্বাস নিতে বা শ্বাস ফেলতে সমস্যা সৃষ্টি করে।
৪. অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ ডায়াবেটিস হৃদরোগ ক্যান্সার ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।
৫. হৃদয়ের সমস্যা: অতিপুষ্টি হলে হৃদয় ও সংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
৬. হাড়ের অস্থির সংক্রান্ত সমস্যা: অতিপুষ্ট ব্যক্তিরা অস্থি সংক্রামকতা, অস্থি দুর্বলতা, ও অস্থির সংম্পর্কে সমস্যা অনুভব করতে পারে।
৭. মানসিক সমস্যা: কিছু অতিপুষ্ট ব্যক্তিরা অতিরিক্ত ওজনের জন্য মানসিক চাপ ও দুঃস্থ অনুভূত করতে পারে।
অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির পার্থক্য:
১. ওজন প্রতিস্থান: অপুষ্টি: ওজন অতিরিক্ত কম অথবা ন্যূনতম পরিমাণের থেকে কম হলে বলা হয় অপুষ্টি।
অতিপুষ্টি: ওজন প্রায় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বা অতিরিক্ত হলে বলা হয় অতিপুষ্টি।
২. শারীরিক অবস্থা: অপুষ্টি: অপুষ্টির ব্যক্তিগুলি সাধারণভাবে স্থূলকায় হওয়া থেকে বিচ্যুত থাকে এবং ওজন অনুযায়ী কম প্রাকৃতিক প্রতিস্থান প্রাপ্ত করতে পারে।
অতিপুষ্টি: অতিপুষ্টির ব্যক্তিগুলি ওজনের বৃদ্ধি হলে প্রাকৃতিক প্রতিস্থান অনেক বেশি হওয়ার কারণে প্রতিস্থান সমস্যা সৃষ্টি পাতে পারে।
অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ দুটি বিভিন্ন অবস্থা, কারণ, প্রতিকার এবং প্রতিসাধারণ লক্ষণ প্রদর্শন করে। যদিও দুটি অবস্থা শারীরিক অবস্থার প্রতিস্থান বা প্রতিসাধারণ অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত হলেও তারা প্রাকৃতিক উৎস ও কারণে বিভিন্ন।
অপুষ্টি প্রতিরোধের উপায়:
১. সঠিক খাবার পরিপন্থী:
প্রাথমিক খাবারে সবজি, ফল, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যোগ করা উচিত। প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন মাছ, ডাল, ডিম, মাংস ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
২. সঠিক ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ:
প্রায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে খাবার খাওয়া উচিত এবং তা সময় সময় দিয়ে খাওয়া উচিত।
৩. খাবারে সংগ্রহণ ও পরিবর্তন:
প্রতিদিন নতুন ও বৈষম্যমূক্ত খাবার সংগ্রহণ করা ও তা সংগ্রহণ করার জন্য ভারতপূর্বক অভ্যাস অনুসরণ করা উচিত।
৪. জলের পরিমাণ পূরণ:
প্রতিদিন প্রায় 8 গ্লাস জল পান করা উচিত।
৫. যোগাযোগ এবং শরীরের পরিস্থিতির অনুসরণ:
প্রাথমিক চিকিত্সা ও পরামর্শের জন্য চিকিত্সক বা পুষ্টিবিদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা উচিত।
৬. জীবনযাপনে প্রাথমিক নিয়ম পরিপন্থী:
অতিরিক্ত শ্রম এবং শারীরিক প্রশ্রয় সম্পর্কে সাবধানতা অভিজ্ঞ করা উচিত।
৭. যোগাযোগ ও সামাজিক সংগঠন:
অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা এবং সামাজিক সংগঠনে যোগ দেওয়া উচিত।
অতিপুষ্টি প্রতিরোধের উপায়:
১. সঠিক খাবার পরিপন্থী:
প্রতিদিনের খাবারে সবজি, ফল, গাড়িয়ে তৈরি খাবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করা উচিত। সাতরাস্রি ও মটোলা জাতীয় পরিপন্থী খাবার এড়ানো উচিত এবং অতিরিক্ত পরিমাণের মিষ্টি, চর্বি ও অতিরিক্ত মসলা খাওয়া উচিত নয়।
২. সঠিক ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ:
দৈনিক খাবার প্রতিস্থানের সময় ও পরিমাণ সঠিক ভাবে মেনে চলা উচিত।
৩. প্রতিদিনে প্রাণী প্রোটিন নিতে বাধ্য করা:
মাংস, মাছ, ডিম ইত্যাদি যুক্ত প্রোটিন যুক্ত খাবার নিতে হবে।
৪. খাবারে সংগ্রহণ ও পরিবর্তন:
প্রতিদিন নতুন ও বৈষম্যমূক্ত খাবার সংগ্রহণ করা এবং তা সংগ্রহণ করার জন্য ভারতপূর্বক অভ্যাস অনুসরণ করা উচিত।
৫. জলের পরিমাণ পূরণ: প্রতিদিন প্রায় 8-10 গ্লাস জল পান করা উচিত।
৬. নিয়মিত পরিশ্রম ও ব্যায়াম:
সামান্য ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম করে অতিরিক্ত ক্যালোরি পুড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।
৭. ডক্টরের পরামর্শ:
অতিরিক্ত ওজনের কারণে যেতে পারে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা, তার জন্য ডক্টরের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
৮. জীবনযাপনে প্রাথমিক নিয়ম পরিপন্থী:
অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ স্থানীয় চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা এবং প্রাথমিক নিয়ম অনুসরণ করা উচিত।
অপুষ্টি ও অতিপুষ্টি থেকে সুস্থ হতে কতদিন সময় লাগে:
অপুষ্টি এবং অতিপুষ্টি দুটি প্রতিস্থানের মধ্যে একটি স্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা প্রতিস্থানের সময় বিভিন্ন প্রকার শর্ত ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।
১. অপুষ্টি থেকে সুস্থ হওয়া:
অপুষ্টির কারণ এবং অবস্থার ত্রাণ পাওয়া হলে প্রাথমিক পুষ্টিকর খাবার প্রবন্ধ যুক্ত করে স্বাভাবিক শারীরিক অবস্থার প্রতিস্থান সম্পন্ন করা সম্ভব। এটি অনেকের জন্য মাত্র কিছু সপ্তাহের মধ্যেই সম্ভব হয়ে উঠতে পারে।
২. অতিপুষ্টি থেকে সুস্থ হওয়া:
অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ অতিপুষ্টি সাধারণভাবে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সম্পর্কিত। এটি সাধারণভাবে প্রকৃতি ও বয়স নির্ভর করে। অতিপুষ্টির কারণ বিশ্বাস করা হলো প্রাথমিক পুষ্টিকর খাবার প্রবন্ধের অপরিমেয় খাবারের সাথে সংযোজন। অতিপুষ্টি থেকে সুস্থ হওয়া সম্পর্কে বেশ সময় লাগতে পারে, কারণ অতিরিক্ত ওজন কমানো এবং স্বাভাবিক ওজনে প্রতিস্থান প্রাপ্ত করার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিস্থান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা উচিত। অধিকাংশ পরিস্থিতি অনুসারে এটি কয়েক মাস থেকে বেশি সময় লাগতে পারে।
সতর্কতা ও চিকিৎসা:
অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ এই সময় সুতরাং ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা, স্বাস্থ্য সমস্যা, পুষ্টিকর খাবার প্রবন্ধ, চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়ে নির্ভর করবে। অতি প্রাথমিক পরিস্থিতিতে পরামর্শ প্রাপ্ত করার জন্য ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। যদি কেউ অপুষ্টি বা অতিপুষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করেন বা কোন লক্ষণ দেখেন, তাহলে তাঁরা অবশ্যই নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং সুচিকিৎসা নিবেন এবং নিজেকে সুস্থ রাখবেন।