অপুষ্টি ও অতিপুষ্টি উভয়ই আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অতিপুষ্টির কারণে আমাদের শরীরে পুষ্টির অতিরিক্ত পরিমাণ জমা হয়, যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। অতিপুষ্টি পুষ্টি ঘটে যখন আমরা প্রতিদিন প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টি গ্রহণ করে থাকি। অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ অতিরিক্ত সেবনকেও অপুষ্টি হিসেবেও বিবেচনা করা হয় কেননা এর নেতিবাচক স্বাস্থ্যের ফলাফল রয়েছে। যদিও অনেক লোক মনে করে থাকেন যে অপুষ্টি মানে পুষ্টির অভাব।
অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ অপুষ্টির কারণে আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়, যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। আমরা সাধারণত অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণগুলো দেখে থাকি যেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকলে আমরা আমাদের ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে পারব। তাই আজকের আমরা অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ সম্পর্কে জানব তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ:
১. উচ্চ রক্তচাপ: অতিপুষ্টির কারণে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
২. ওজন কমে যাওয়া: অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ একজন অতিপুষ্টিত বা পুষ্টিশূন্য ব্যক্তির ওজন অতিসংকোচ হতে পারে। শরীরের প্রতিরক্ষা সিস্টেম দুর্বল হতে পারে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
৩. সুস্থুলতা: অতিপুষ্টির সবচেয়ে সাধারণ শারীরিক লক্ষণ হল স্থূলতা। স্থূলতা হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, এবং কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৪. অতিরিক্ত শ্রম অনুভব: অতিপুষ্টিত ব্যক্তি অতিরিক্ত শ্রম অনুভব করতে পারে, কারণ তার শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি থাকতে পারে না।
৫. কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি: অতিপুষ্টির কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।
৬. দুর্বলতা এবং শক্তির অভাব: অতিপুষ্টিত ব্যক্তি সাধারণভাবে দুর্বল হয় এবং তার শক্তি স্তর অতিরিক্ত কম থাকতে পারে।
৭. ডায়াবেটিস: অতিপুষ্টির কারণে ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে।
৮. ত্বকের অস্বস্তি: অতিপুষ্টিত ব্যক্তির ত্বক অস্বস্তির চিহ্ন দেখতে পাওয়া যেতে পারে। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হতে পারে এবং ধূসর বা অস্বাভাবিক দেখতে পারে।
৯. ত্বকের সমস্যা: অতিরিক্ত পুষ্টি গ্রহণের কারণে মাঝে মাঝে ত্বকে ব্রণ ও প্রদাহ দেখা দেয়।
১০. দাঁতের সমস্যা: অতিপুষ্টিত ব্যক্তির দাঁতে সমস্যা হতে পারে, যেমন দাঁতের সড়কার এবং দাঁতের মধ্যে সমস্যা।
১১. অধিক শারীরিক কাজের সাধন: অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ কিছু অসুস্থতা বা পরিস্থিতির জন্য একজন ব্যক্তি বেশি শারীরিক কাজ করতে পারে এবং তার দ্বারা প্রয়োজনীয় পুষ্টি অতিরিক্তভাবে ব্যয় হতে পারে।
১২. মাসিক বা এমন সময়ের অস্বস্তি: স্ত্রীবাচ্চা যোনি ক্ষেত্রে, অতিপুষ্টিত বা পুষ্টিশূন্য হওয়া হতে মাসিক বা বীর্যস্রাবে সময়ের অস্বস্তি হতে পারে।
১৩. অভাবগুলি এবং রোগ: কিছু অভাব অথবা মানবদেহের কিছু রোগের জন্য অতিপুষ্টি হতে পারে, যেমন আনেমিয়া বা কোয়াশিওর্কর।
১৪. শক্তি নষ্ট: অতিপুষ্টিত ব্যক্তি দৈহিক কাজের জন্য শক্তি অতিরিক্তভাবে কম পাওয়ার চিহ্ন দেখতে পারে।
১৫. জীবাণুতাত্ত্বিক অসমর্থন: কিছু অসুস্থতার জন্য কারণ হতে পারে যেগুলি জীবাণুতাত্ত্বিক অসমর্থন বা সংক্রামকে জড়িত করে। এই কারণে পুষ্টিশূন্যতা হতে পারে।
১৬. অল্পশক্তির খাবার অবলম্বন: অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ অল্পশক্তির খাবার অবলম্বন করা, যা পুষ্টির প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি সরবরাহ করতে অসমর্থ করতে পারে।
১৭. অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: অতিপুষ্টির কারণে অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে, যেমন লিভারের রোগ, কিডনি রোগ, এবং পিত্তথলির পাথর।
১৮. খাদ্যদ্রব্যের প্রবাহের সমস্যা: খাদ্যদ্রব্যের সমস্যা হতে পারে, যেমন জলাবদ্ধতা অথবা খাদ্যদ্রব্যের উপকরণগুলি ঠিকঠাক পৌঁছাতে না পারলে।
অতিপুষ্টির লক্ষণ:
অতিরিক্ত ভিটামিন এ এর প্রাথমিক ইঙ্গিত ও শুষ্ক ত্বক এবং চুলকানি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
মাথা ঘোরা
বমি বমি ভাব
মাথাব্যথা
বমি
(থায়ামিন, অ্যানিউরিন)
শেষ কথা এবং সতর্কতা:
অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ যখন অভাব মনে হবে তখন অবশ্যই আপনাদেরকে সুস্থ থাকার জন্য এবং এই ক্ষতিকর রোগ থেকে বাঁচতে নিজস্ব কোন স্থানের ভালো ডাক্তার দেখাবেন এবং তিনি আপনাকে সুস্থ থাকার জন্য পরামর্শ ও কিছু মেডিসিন দিয়ে দিবেন তা খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং ভালো থাকবে তাই অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।